পৌরনীতি ও নাগরিকতা - জাতীয় চেতনা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় - ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন

১৯৬২ সালে সামরিক শাসক আইয়ুব খানের সময়কালে শিক্ষা নীতি প্রণয়নের জন্য ‘শরীফ শিক্ষা কমিশন' গঠন করা হয়েছিল। উক্ত কমিশনের রিপোর্টে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত ইংরেজি পাঠ বাধ্যতামূলক, উর্দুকে জনগণের ভাষায় পরিণত করা এবং একই সাথে জাতীয় ভাষার জন্য একটি সাধারণ বর্ণমালা প্রবর্তনের চেষ্টা এবং সেক্ষেত্রে আরবির গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা, রোমান বর্ণমালার সাহায্যে পাকিস্তানি ভাষাসমূহকে লেখা, শিক্ষা খরচ শিক্ষার্থীদের বহন করা, ডিগ্রি কোর্সকে তিন বছর মেয়াদি করা ইত্যাদি সুপারিশ করা হয় । ছাত্ররা এই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নামে । আন্দোলন চলাকালে ১৯৬২ সালে ১৭ই সেপ্টেম্বর পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ছাত্রনেতা মোস্তফা ওয়াজিউল্লাহ, বাবুল প্রমুখ। ৬২'র শিক্ষা আন্দোলনের গুরুত্ব রাজনৈতিকভাবেও অপরিসীম।

Promotion